Tuesday, August 29, 2017

হিন্দু ধর্মে প্রচলিত ৫ টি ধারণা যা আসলে ভূল। জেনে নাও

১. হিন্দু ধর্মে ৩৩৩ কোটি
দেবদেবী রয়েছেন:
মোটেই তা নয়। হিন্দু ধর্ম এক পরম
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। সেই
ঈশ্বর মানুষের চিন্তা বা কল্পনার
অতীত। কাজেই নিজের সুবিধামতো
রূপে ঈশ্বরকে কল্পনা করে নেওয়ার
অধিকার ভক্তকে দিয়েছে হিন্দু
ধর্ম। হিন্দু ধর্মে যে বিভিন্ন
ঠাকুরের পুজো প্রচলিত রয়েছে, তা
আসলে সেই এক পরমেশ্বরেরই
বিভিন্ন রূপ।
২. হিন্দুরা মূ্র্তি পূজা করে:
মূর্তির পূজা হয় না, পুজো হয়
ঈশ্বরের। মূর্তিটি সেই ঈশ্বরের
একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বহিঃপ্রকাশ
মাত্র। পরমেশ্বর যেহেতু মানুষের
সীমিত কল্পনার অতীত, সেহেতু তাঁর
একটি স্পর্শগম্য মূ্র্তি নির্মাণ করে
নেয় হিন্দুরা যাতে ভক্ত তার
প্রার্থনা বা অভিযোগ নিবেদনের
একটি সুস্পষ্ট ক্ষেত্র পায়।
৩. হিন্দু ধর্ম জাতপাতের
বিভাজনে বিশ্বাসী:
জাতপাতের বিভাজনটি ধর্মে নয়,
সমাজে প্রচলিত। এবং এই
বিভাজনের মূলে রয়েছে মানুষে
মানুষে পেশাগত পার্থক্য। আদি
ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন পেশার
মানুষের প্রতি সমাজের আলাদা
রকমের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে
জাতপাতের বিভাজনের উৎপত্তি।
এর সঙ্গে ধর্মের প্রত্যক্ষ কোনও
যোগ নেই।
৪. হিন্দুরা অদৃষ্টবাদী:
আসলে হিন্দুরা কর্মফলবাদী। হিন্দু
ধর্মে বলা হয়েছে, নিজের কর্মের
মাধ্যমে নিজের নিয়তি নির্মাণের
অধিকার প্রতিটি মানুষের রয়েছে।
সৎ কর্মের ফলে মানুষ যেমন পুরষ্কৃত
হবে, তেমনই দুষ্কর্মের শাস্তিও
তাকে পেতে হবে। জীবনের চরম
লক্ষ্য হবে মোক্ষ অর্জনের মাধ্যমে
আত্মাকে মুক্ত করা।
৫. ‘ভগবদ্গীতা’ হল হিন্দুদের
ধর্মগ্রন্থ:
হিন্দু ধর্মে প্রতিষ্ঠিত অর্থে কোনও
ধর্মগ্রন্থ নেই। ‘গীতা’ একটি
ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ, যার মূল উদ্দেশ্য
ধর্মদর্শনের আলোচনা।

No comments:

Post a Comment

একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"

জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্...