Thursday, August 24, 2017

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়

নিন্মোক্ত কথাগুলোকে সবাই মেনে চলতে হবে।তা না হলে, সমাজে শান্তি ফিরে আসবে না। বিশৃঙ্খলা দুর হবে না। আমরা সবাই মানুষ মানবতার উর্ব্ধে নয়।একই রক্তে মাংসে গড়া সকল মানব জাতি।কখনো ভেদাভেদ সৃষ্টি করবেন না। সবাই এক একথা মনে করতে হব।#অনামী, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। সমস্ত মতেই এই কথা স্বীকৃত হয়েছে। যেমন জল, পানি ও ওয়াটার মূলতঃ একই বস্তু, ভাষার বিভিন্নতা মাত্র; তেমনি ঈশ্বর, আল্লাহ ও গড যে নামেই তাকে অভিহিত করা যাক না কেন-তিনি মূলত এক। তাই ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ যে ধর্ম তাও এক। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, এগুলি সম্প্রদায় মাত্র, ধর্ম নয়।হিন্দুর সনাতন অর্থ যা ছিল, যা আছে, ও যা থাকবে তাই সনাতন। ইসলাম মানে শান্তি। যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণকারীদের খ্রীষ্টান বলা হয়। ঈশ্বর এক; ধর্মও এক, আর প্রেরিত পুরুষ যাঁরা তাঁরাও ঐ এক বার্ত্তাকাহী। হিন্দুরা তাদের অবতার, ভগবান বা পুরুষোত্তম বলে থাকেন। তারাই ঈশ্বরের মূর্ত্ত নরবিগ্রহ। মুসলমানেরা বলেন তিনি খোদার দোস্ত। খ্রীষ্টানেরা বলেন তিনি ঈশ্বরপুত্র। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় আবির্ভূত হলেও শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীবুদ্ধ, হজরত মোহাম্মদ(সঃ), শ্রী চৈতন্য, শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রভৃতি প্রেরিত পুরুষেরা সেই একই ঈশ্বরের মূূত্ত দ্যোতনা। তাঁদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক-তা'হলো ঈশ্বরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা এক লোককল্যাণ। সব মতেই ঐ একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা হয়েছে-এঁদের ভিতরদিয়ে ছাড়া ঈশ্বরকে পাবার আর কোন উপাই নাই। তাই এঁদের মধ্যে যাঁরা প্রভেদ করে, বিভেদ করে এবং ধর্ম নিয়ে যারা দ্বেষ হিংসা করে তারা প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বরকেও মানে না, ধর্মকেও মানে না, এক কথায় তারা অবিশ্বাসী, তারাই কাফের। একজন খাঁটি হিন্দু, একজন খাঁটি মুসলমান এবং একজন খ্রীষ্টানে কোন পার্থক্য নাই। যেখানে যতখানিপার্থক্য সেখানে ততখানি বিদ্বেষ আর সেখানেই ততখানি অজ্ঞানতা।।

No comments:

Post a Comment

একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"

জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্...