গল্প হলেও সত্যি, অনেক হৃদয় বিদারক।এক গরীব স্বামী-স্ত্রী একটি ছোট গ্রামে বাসকরতেন।তাদের একমাত্র ছেলে ছাড়া অন্য কোন সন্তানছিল না।তারা তাকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষায় শিক্ষিত করেতোলেন ।ছেলে গ্রামের কাছের একটি শহর হতেইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। ভাগ্যবশত, সে এক ধনীমেয়েকে বিয়ে করে।প্রথমদিকে, ছেলে আর তার বউ তার বাবা মায়েরসাথেই গ্রামে থাকতো। শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্যপরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর তার স্বামীকে তার মা-বাবাকে ছেড়ে শহরে থাকতে বলে। কিছুদিন পরেইছেলে পত্রিকায় একটি চাকুরির বিজ্ঞাপনদেখতে পায়। সে সেই চাকুরিটা পেয়ে যায়, আরতারবউকে নিয়ে শহরে চলে যায়। নিয়মিত সে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে থাকে। কিন্তু একসময়,সে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় আর তার মা-বাবা যে জীবিত সে কথা ভুলেই যায়। প্রতি বছরসে পূজা পার্বন করে থাকে। একবার পূজার পরসে স্বপ্নে দেখল, কে যেনতাকে বলছে , ‘তোমার পূজা করা হয় নি।’ একদিনসে তার এই সব ঘটনা এক পুরোহিতের নিকটখুলে বলল। ‘পুরোহিত তাকে তার গ্রামে ফিরে গিয়েমা-বাবার সাথে দেখা করতে পরামর্শ দেয়। সে তারগ্রামে ফিরে গেল, সে তার গ্রামের সীমানায়প্রবেশকরল। কিন্তু সে দেখল, সব কিছুই কেমন যেনবদলে গেছে। সে তার বাড়ি খুজে পেল না। সে একছোটছেলেকে তার বাড়ির অবস্থানের কিছু বর্ণনা দিল।ছোট ছেলেটি তাকে একটি বাড়িরদিকে ইশারা করে বললঃ “এই বাড়িতে এক অন্ধবৃদ্ধা মহিলা থাকেন যার স্বামী কয়েক মাস আগেইমারা যান। তার একমাত্র ছেলে ছিল যে কিনা বহুবছর আগে শহরে চলে গেছে, আর ফেরেনি। কত বড়দূর্ভাগ্যবান লোক!” ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশকরে দেখল যে তার মা বিছানায় শুয়ে আছেন।সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল যাতে তারমা জেগে না ওঠে। সে শুনলো তার মা কি যেনএকা একা চুপি চুপি বলছেন। সে তারআরো কাছে আসলো যাতে তার কথা শুনতে পারে।.সে শুনলো তার মা বলছেন, “হে ভগবান! আমি এখনঅনেক বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামী ওমারা গেছেন। এখন আমাকে শশ্মানে নামানোর মতকোন পুরুষ নেই। তাই দয়া করে আমারছেলেকে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য আমারকাছে পাঠিয়ে দাও।”হে বন্ধুরা যে মা দশ মাস গর্ভে রেখে আমাদেরলালন পালন করেছেন। আজ সেই মার এমন অবস্তারজন্য আমরাই তো দায়ী তাই নয় কী?একজন মা তার সন্তানকে কত ভালবাসেন!!যিনি আমাদের জন্য প্রতিদিন লড়াই করেন,হাজারো ব্যাথা সহ্য করেন শুধু আমাদের একটাসুন্দর জীবনের পথ করে দিতে!.আজ মাকে খুব বেশি মনে পড়ছে। ভালো থেকো মাখুব ভালো থেকো।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"
জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্...
-
আর পারছি না গুরু তেইশটা বছর ধরেপ্যান্টে শার্ট গুজে পরে আর পারছিনা গুরুসেই নার্সারি থেকে শুরু। পাড়ার যত ছেলেগুলোসবার ঘরে বউ এল মা বললেন ম...
-
বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে নমস্কার জানালো।আমিও নমস্কার উত্তর শুনে পাশে গিয়ে বসলাম। পাশে বসতেই বৌ আমাকে বলল.... ----ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখুন তো...
-
আকাশে এখন ছেঁড়া মেঘের ভেলা। শহরের ইতিউতি কোথাও যেন কাশ ফুলের দেখা পাওয়া। আর ভোরবেলা শিউলির ফুলের গন্ধ। দিকে দিকে এখন দেবী বন্দনা। বছর ঘু...
No comments:
Post a Comment