সময় তখন গোধূলী।। একটি বিয়ে বাড়ি সব রকম কার্য-বিধি চলছে। তবে বিয়ের আয়োজন সীমিত পরিসরে হলেও সেখানে বেশ কিছু দৃশ্যপট লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।দীপও সেখানে উপস্থিত ছিল। দীপ একটি ছেলের নাম। ছেলেটি অত্যান্ত প্রাচীন আধুনিকতার ছোঁয়া এখনো গাঁয়ে লাগেনি যদিও সে মোটামুটি গ্র্যাজুয়েট ছিল। যাইহোক, বিয়ের অধিকাংশ কার্য-পরিচালনা তার হাতেই যদিও নিবেদিত ছিল তাই কাজে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছিল। বিয়ের প্রায় কিছু সময় বাকী। আরেকটা কথা বলা হয়নি বিয়ের আয়োজনটা হচ্ছিল তিন তলা বাড়ির ছাঁদের উপর বেশ মনোরম পরিবেশ। কুঞ্জ সাঁজানোর দায়বাড় সম্পূর্ণ দীপের হাতে। পাত্র দেখতে বেশ সুন্দর। পাত্র-পাত্রী কুঞ্জে পৌছানোর পূর্বেই দর্শকের ভীড় এতোই প্রাণবন্ত ছিল যে সেটা দেখার মত। দীপ তখনও খুব ব্যস্ত একবার নিচে যাচ্ছে আবার উপরে আসছে। এরূপ অবস্থায় হঠাৎ দীপের দর্শনের পাতায় চোখ পড়ে এক কালো পোশাক পড়া অনন্য রমণি যা অন্য সবার চাইতে আলাদা। সেই অপরুপ নিষ্পাপ মুখখানি, যেন কোনো পাহাড়ি ঝর্ণা তার উপর হাজারো প্রজাপতি খেলা করছে তার সৌন্দর্য ঠিক ততখানিই স্নিগ্ধ। একদম সাদাসিধে চেহারা, যার মাঝে ভীষণ সরলতা প্রকাশ পায়। যেন বিধাতা পূর্বে এরুপ সৌন্দর্য দিয়ে কাউকে সৃষ্টি করেনি। দীপ এক মুহূর্তের মধ্যে থমকে গেল। আর মনে মনে ভাবছে কি দেখছি হঠাৎ আকাশ থেকে পরীটা কখন নেমে আসলো এই ধরায়। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হওয়ার পর তার মনে একটাই প্রশ্ন কে সেই পরী আমাকে জানতেই হবে। উপস্থিত যাকেই বলছে কেউ বলতে পারছেন না। এদিকে বিয়ে সমাপ্তি প্রায় সে তো চলে যাবে। কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না দর্শক চলে যাচ্ছে তার সাথে সেই পরীটাও। ততক্ষণে দীপের আশার আলো নিভে যাচ্ছিল। সিঁড়ি বেঁয়ে যখন নিচের দিকে চলে যাচ্ছিল দীপ তখন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না,,,,,,,,,,,
Sunday, August 2, 2020
Subscribe to:
Comments (Atom)
একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"
জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্...
-
আর পারছি না গুরু তেইশটা বছর ধরেপ্যান্টে শার্ট গুজে পরে আর পারছিনা গুরুসেই নার্সারি থেকে শুরু। পাড়ার যত ছেলেগুলোসবার ঘরে বউ এল মা বললেন ম...
-
বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে নমস্কার জানালো।আমিও নমস্কার উত্তর শুনে পাশে গিয়ে বসলাম। পাশে বসতেই বৌ আমাকে বলল.... ----ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখুন তো...
-
আকাশে এখন ছেঁড়া মেঘের ভেলা। শহরের ইতিউতি কোথাও যেন কাশ ফুলের দেখা পাওয়া। আর ভোরবেলা শিউলির ফুলের গন্ধ। দিকে দিকে এখন দেবী বন্দনা। বছর ঘু...
