Saturday, October 23, 2021

একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"

জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা সহ বিনামূল্যে বই, খাতা, কলম প্রদান করে থাকে। এছাড়া উক্ত গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে থাকেন। এবছর শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজা ২০২১ইং উপলক্ষ্যে জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মৃগা ইউনিয়ন ও ধনপুর ইউনিয়নের কয়েকজন সম্মানিত ব্যাক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো। ১) জনাব কামরুল হাসান দুলাল চেয়ারম্যান, ৩নং মৃগা ইউপি ও সভাপতি, ৩নং মৃগা আওয়ামীলীগ। ২) জনাব দারুল ইসলাম সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইটনা উপজেলা ৩) জনাব ছিদ্দিকুর রহমান সাবেক চেয়ারম্যান, ৩নং মৃগা ইউপি সহ-সভাপতি, ইটনা উপজেলা আওয়ামীলীগ। ৪) জনাব অ্যাড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ এপিপি,নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাই. সাবেক এজিএস, কিশোরগঞ্জ আইনজীবি সমিতি ও গুরুদয়াল সরকারি কলেজ। ৫) জনাব মিজানুর রহমান ভূট্টু সাধারণ সম্পাদক,মৃগা ইউপি আওয়ামী ৬) জনাব মাহফুজ মিয়া সহকারি শিক্ষা অফিসার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। ৭) জনাব আলমগীর ফরিদ দপ্তর সম্পাদক, ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগ ৮) বাবু কামদেব দাস দেবু সিনিয়র অফিস এক্সিকিউটিভ আল-ফাতিন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ ৯) বাবু দিলীপ দাস বিপি, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ডিএমপি ঢাকা। বিএসএস, এমএসএস গুরুদয়াল সরকারি কলেজ। কিশোরগঞ্জ ১০) বাবু নারায়ণ চন্দ্র সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১১) বাবু সাধন চন্দ্র দাস সাবেক সভাপতি, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১২) বাবু রথীন্দ্র চন্দ্র দাস সভাপতি, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

Thursday, July 8, 2021

একটি মায়ের গল্প - পিকেডি

সভ্যতা !! পৃথিবীতে যত মহৎ সভ্যতার জন্ম দিয়েছেন তিনি আর কেউ নয় সে হলো আমাদের মা। মা শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব সুখের কথা। চাওয়া-পাওয়ার এই পৃথিবীতে বাবা মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে কোন কিছুর তুলনা চলে না। মা মানে সততা, মা মানে নিশ্চয়তা, মা মানে নিরাপত্তা, মা মানে অস্তিত্ব, মা মানে পরম আশ্রয়। মা মমতাময়ী, চির সুন্দর, চির শাশ্বত। মা সন্তানের শিক্ষক, প্রশিক্ষক এবং বিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা। জন্মের পর প্রথম আমরা কেউ আকাশ দেখিনি, মাকেই দেখেছি। মা উচ্চারণের সাথে সাথেই সন্তানের মনের ভিতর এক অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়। লুসিয়া মে অরকুটের বলেন, "" মা সবকিছু ক্ষমা করে দেন পৃথিবীর সবাই ছেড়ে গেলেও মা কখনো সন্তানকে ছেড়ে যান না"" । মেধা, শ্রম ও মমতা দিয়ে সন্তানদের বড় করে তোলার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব মায়ের। যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে দিনের-পর-দিন প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে সন্তান জন্ম দিয়ে রাতের পর রাত বিনা নিদ্রায় সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন। সেই মাকে বিনা যত্নে অনাদরে অবহেলায় অসহ্য যন্ত্রণায় মেরে ফেলার একটি উপাখ্যান লিখছি,

গ্রামের নাম মধুপুর। সেই গ্রামে এক গরীব স্বামী-স্ত্রী বাস করতেন। তাদের একটি মাত্র পুত্র সন্তান ছিল তার নাম সবুজ। আর কোন সন্তান ছিল না তাদের। সে গরিব বাবা মায়ের একটাই স্বপ্ন ছিল ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। বাবা ছিল একজন কৃষক ও মা একজন গৃহিনী। তাদের পড়াশোনা নেই বললেই চলে। তারা তাদের সন্তানকে খুব ভালোবাসতো সন্তানও তাদেরকে খুব ভালোবাসতো। এভাবেই তাদের জীবন আনন্দে ভরপুর। বাবা মা ও সন্তানের এতো ভালোবাসা হয়তো আগে কখনো দেখিনি আমি। যাইহোক, ছেলেটি গ্রামের কাছের একটি শহর থেকে বিএ পাস করে। গ্রাম থেকে বিএ পাস করা মানে একটা হৈ রৈ ব্যাপার আছে। তার বাবা-মার ইচ্ছা এবার ছেলেকে একটি ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করাবে। পাশের গ্রামের শ্যাম কুমার বাবু দীর্ঘদিন যাবত শহরে থাকেন। ঘটকের মাধ্যমে জানতে পারা গেল তার ছোট মেয়েটা বিয়ের বাকী। শহরে পড়াশোনা করে চরিত্র কেমন তা জানা মুশকিল। শহরের কালচার একটু ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। ছোট মেয়েটা বেশ সুন্দরী গুণবতী। নাম তার অনন্যা শহরের নামী দামী কলেজে পড়াশোনা করছে। গ্রামের ছেলেকে বিয়ে করতে সে মোটেও রাজি ছিল না। শহরে থাকলেও শ্যামকুমার বাবুর অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। গ্রামের বাড়িতে বেশ নাম ডাক আছে। একটা কথা বলে রাখি আপনার সন্তান কে যদি বিয়ে করাতে চান তাহলে আপনার সন্তানের থেকে সর্বদিক দিয়ে নিন্ম ধরনের মেয়ের সাথে বিয়ে দিবেন। অর্থাৎ রূপ,গুণ,বংশ,বর্ণ, গোত্র, শিক্ষা এসব ইত্যাদি। এতে সবারই মঙ্গল হবে। যাইহোক, প্রথমদিকে কন্যার বিয়ে দিতে রাজি না হলেও পরে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তার সুশ্রী গুণবতী মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হলেন। ধুমধাম করে বিয়ের কাজ শেষ হলো। প্রথমদিকে তাদের সংসার ভালই কাটছিল ছেলে আর তার বউ তার বাবা মায়ের সাথেই থাকতো। শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্য পরিবেশে হাপিয়ে উঠে আর তার স্বামীকে তার বাবা-মাকে ছেড়ে শহরে থাকতে বলে। শহরে বড় হয়েছে যে মেয়ে তার কি গ্রাম্য পরিবেশ ভালো লাগে !! তার মাঝে আবার সুন্দরী সুশ্রী। সবুজ কিছুতেই তার বউয়ের কথায় রাজি হলেন না। এ নিয়ে তার বউয়ের সাথে মনোমালিন্য চলছে। সবুজ বলল যে বাবা-মা আমাকে সারাজীবন এত কষ্ট করে মানুষ করেছে তাদের রেখে আমি যেতে পারব না। কিছুদিন পরে সবুজ পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। সে আবেদন করার পর  সেই চাকুরিটা পেয়ে যায়। চাকরির সুবাদে সে শহরে চলে যায়। পরে সে সুযোগ সুবিধা করে তার বাবা-মা সহ বউকে শহরে নিয়ে যায়। কিন্তু তার বউ তার বাবা-মাকে কিছুতেই দেখতে পারতো না, ঠিকমতো খাবার দেয় না শুধু ঝগড়া করে। এমনিতেও গ্রামে থেকে অভ্যাস শহরে ভালো লাগে না। তার মাঝে এসব বিষয় শুনতে শুনতে তার বাবা-মার শহরে ভালো লাগলো না। তারা সিদ্ধান্ত নিলো গ্রামের বাড়িতে চলে যাবে। বাবা-মায়ের এমন নিঃসঙ্গ জীবন দেখে ছেলেও রাজি হন বাবা-মাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। নিয়মিত সে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে থাকে। বউয়ের নানা ধরনের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছে। বাবা মাকে টাকা পাঠানো নিয়ে বউ প্রতিদিন সবুজের সাথে ঝগড়া করে। বউয়ের এমন ব্যবহার আর অমানবিক অত্যাচার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সবুজ। প্রতিদিন ঝগড়াঝাটিতে হাপিয়ে উঠছিলেন। অন্যদিকে তার বউয়ের বাপের বাড়িতেও সমস্যা। অনন্যার ভাইয়ের বউ তার বাপ মাকে কিছুতেই সহ্য করতে পারেনা। এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের পায়চারি। যে অন্যের বাবা-মাকে সহ্য করতে পারেনা তার বাবা-মাকে অন্য কেউ সহ্য করবে কিভাবে। এটাই হয়তো বিধাতার খেলা। পরদিন রাতে তার স্বামীকে বলে আমার বাবা-মার দুর্দিনে বাবা-মাকে আমার কাছে রাখতে চাই। কাল আমার বাবা-মাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসব। সবুজ কিছুই বলল না আর বলেও কোনো লাভ নেই। মনে মনে ভাবছে যেখানে আমার বাবা মা থাকার কথা সেখানে,,,,,,। যেই কথা সেই কাজ তার বাবা-মাকে নিয়ে আসলো। এদিকে স্বামীর বাবা মার কি হলো সেদিকে লক্ষ্য নাই। এভাবে চলতে থাকলো তাদের সংসার। মাঝে মাঝে সবুজ তার বাবা-মার সাথে ফোনে কথা বলে আর কিছু টাকা পাঠায়। তার বাবা-মা তার মনের অবস্থা বুঝতে পারে এজন্য তাকে কিছু বলে না। এক পর্যায়ে তার বাবা মা বলল আমাদের টাকা পাঠাতে হবে না খোকা যা আছে তাতেই চলবে। তোমরা ভালো থেকো । এক সময় এভাবে আস্তে আস্তে টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে যায় তার সাথে যোগাযোগও। সময়ের ব্যবধানে মানুষ পাল্টে যায়। এভাবেই সবুজ ও তার বাবা-মার মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। তার মা বাবা যে জীবিত সে কথা ভুলেই যায়। প্রতি বছর সে দূর্গা পূজা করে থাকে। একবার দূর্গা পূজার পর সে স্বপ্নে দেখলো, কে যেন তাকে বলছে , ‘তোমার পূজা করা হয় নি।একদিন সে তার এই সব ঘটনা এক পুরোহিতের নিকট খুলে বলল। ‘পুরোহিত তাকে তার গ্রামে ফিরে গিয়ে মা-বাবার সাথে দেখা করতে পরামর্শ দেয়।সে তার গ্রামে ফিরে গেল, সে তার গ্রামের সীমানায় প্রবেশ করল। কিন্তু সে দেখল, সব কিছুই কেমন যেন বদলে গেছে। সে তার বাড়ি খুজে পেল না। সে এক ছোট ছেলেকে তার বাড়ির অবস্থানের কিছু বর্ণনা দিল। ছোট ছেলেটি তাকে একটি বাড়ির দিকে ইশারা করে বললঃ “এই বাড়িতে এক অন্ধ বৃদ্ধা মহিলা থাকেন যার স্বামী কয়েক মাস আগেই মারা যান। তার একমাত্র ছেলে ছিল যে কিনা বহু বছর আগে শহরে চলে গেছে, আর ফেরেনি। কত বড় দূর্ভাগ্যবান লোক!” ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশ করে দেখল যে তার মা বিছানায় শুয়ে আছেন। সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল যাতে তার মা জেগে না ওঠে। সে শুনলো তার মা কি যেন একা একা চুপি চুপি বলছেন। সে তার আরো কাছে আসলো যাতে তার মায়ের কথা শুনতে পারে। সে শুনলো তার মা বলছেন, “হে ভগবান! আমি এখন অনেক বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামী ও মারা গেছেন। এখন আমাকে শশ্মানে নামানোর মত কোন পুরুষ নেই। তাই দয়া করে আমার ছেলেকে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।” এ কথা শুনতে পেয়ে সবুজ চিৎকার করে বললো, "মা, মাগো আমায় ক্ষমা করে দাও!! আমার ভীষণ ভুল হয়ে গেছে মা , আমার ভীষণ ভুল হয়ে গেছে। মায়ের এমন অবস্থা দেখে সবুজ স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। যে বাবা-মা তাকে এতোটা ভালোবাসতো এতটা স্নেহ করতো। যে বাবা-মার প্রতি এতোটা ভালোবাসা ছিল। সেই মা আজ না খেয়ে দিনের পর দিন সন্তানের মঙ্গল কামনা করে তার জন্য অপেক্ষা করছে। কখন তার সন্তানকে দেখতে পাবে। হায় ভগবান!! কি দৃশ্য দেখালে আমায় । আমাকে মৃত্যু দাও খোদা!! সবুজ আস্তে আস্তে ভিড় ভিড় করে কি যেন বলছে, যে মা না খেয়ে আমাকে খাইয়েছে, সারারাত না ঘুমিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়েছে, আমি অসুস্থ হলে আমার জন্য পাগল হয়ে যেত। সেই মা আজ দিনের পর দিন অনাদরে-অবহেলায় মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে শুধু আমাকে একটা বার দেখার জন্য। হায় খোদা !!তুমি আমায় কেমন পরীক্ষায় ফেললে। সন্তানকে জড়িয়ে ধরে তার মা ধীরে ধীরে বলছে, কেমন আছিস খোকা,,? তোর শরীর ভালো আছে তো। আমাকে নিয়ে চিন্তা করিস না খোকা আমি ভালো আছি। শুধু তোকে একটা বার দেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেটাও হলো না আমি এখন অন্ধ। তোকে একটা বার মন ভরে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল রে খোকা। কিন্তু আমার সময় শেষ আর হয়তো দেখা হবে না কোনোদিন। খুব ভালো থাকিস খোকা, খুব ভালো থাকিস। আমি মরে গেলে তোর বাবার পাশে আমার খবরটা দিস। এই বলে তার মা নীরব আর কথা বলেনি। চলে গেলেন এতক্ষণে সবুজ স্তব্ধ হয়ে গেছেন। চরম দুর্দিনে যে সন্তানকে পাশে পাবে বলে এতো আদর যত্ন করে মানুষ করেছে। সেই সন্তানকেই যখন পাশে পায়নি। তখন প্রতিটা বাবা মায়ের বুকের ভিতর যে ভয়ঙ্কর আর্তনাদ এটা ভীষন পাপ । প্রতিবেশীরা তার মার লাশ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে তার বাবার কবরের পাশে কবর দিল। তার মায়ের শেষ বিদায়টা সহ্য করতে না পেরে সবুজ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এভাবেই বাবা-মার কবরের পাশে রাতের পর রাত কাটতে লাগলো। তার বউয়ের আর খোঁজ মেলে নি। হয়তো অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে গেছে। যে মা দশ মাস গর্ভে রেখে আমাদের লালন পালন করেছেন। আজ সেই মার এমন অবস্তার জন্য আমরাই তো দায়ী তাই নয় কী? একজন বাবা মা তার সন্তানকে কতটা ভালবাসেন!! যারা আমাদের জন্য প্রতিদিন লড়াই করেন, হাজারো ব্যথা সহ্য করেন শুধু আমাদের একটা সুন্দর জীবনের পথ করে দিতে।

মেয়েরা খুব অদ্ভুত টাইপের হয়বউ হয়ে স্বামীর সংসারে আসার পরে স্বামীকে তার পরিবার থেকে আলাদা করার জন্য যুদ্ধ করে। আবার সেই একই মেয়ে যখন মা হয়ে যায় অর্থাৎ বৃদ্ধ হয়ে যায় তারা তখন পরিবারের সাথে থাকার জন্য যুদ্ধ করে। অথচ তারা ভুলে যায় সেদিনের কথা আজকে কেন তারা মা হয়ে পরিবারের সাথে থাকতে পারছে না। কারণ সে ও তো একসময় তার স্বামীকে তার পরিবার থেকে আলাদা করে ফেলেছিল। তাহলে কি করে আজ এই বৃদ্ধ বয়সে সে পরিবারের সাথে থাকবে। যেমন কর্ম তেমন ফল কথাটা তো সত্যি। সুতরাং কোন কিছু করার আগে একবার নিজের অবস্থানটা বিচার করে দেখুন। আমরা কেউই চিরকাল থাকবো না সময়ের ব্যবধানে কাকে কোথায় দাঁড় হতে হয় আমরা কেউ জানিনা।

Sunday, August 2, 2020

রাজকুমারী খুশীর গল্প

পর্বঃ ০১

সময় তখন গোধূলী।। একটি বিয়ে বাড়ি সব রকম কার্য-বিধি চলছে। তবে বিয়ের আয়োজন সীমিত পরিসরে হলেও সেখানে বেশ কিছু দৃশ্যপট লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।দীপও সেখানে উপস্থিত ছিল। দীপ একটি ছেলের নাম। ছেলেটি অত্যান্ত প্রাচীন আধুনিকতার ছোঁয়া এখনো গাঁয়ে লাগেনি যদিও সে মোটামুটি গ্র্যাজুয়েট ছিল। যাইহোক, বিয়ের অধিকাংশ কার্য-পরিচালনা তার হাতেই যদিও নিবেদিত ছিল তাই কাজে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছিল। বিয়ের প্রায় কিছু সময় বাকী।  আরেকটা কথা বলা হয়নি বিয়ের আয়োজনটা হচ্ছিল তিন তলা বাড়ির ছাঁদের উপর বেশ মনোরম পরিবেশ। কুঞ্জ সাঁজানোর দায়বাড় সম্পূর্ণ দীপের হাতে। পাত্র দেখতে বেশ সুন্দর। পাত্র-পাত্রী কুঞ্জে পৌছানোর পূর্বেই দর্শকের ভীড় এতোই প্রাণবন্ত ছিল যে সেটা দেখার মত। দীপ তখনও খুব ব্যস্ত একবার নিচে যাচ্ছে আবার উপরে আসছে। এরূপ অবস্থায় হঠাৎ দীপের দর্শনের পাতায় চোখ পড়ে এক কালো পোশাক পড়া অনন্য রমণি যা অন্য সবার চাইতে আলাদা। সেই অপরুপ নিষ্পাপ মুখখানি, যেন কোনো পাহাড়ি ঝর্ণা তার উপর হাজারো প্রজাপতি খেলা করছে তার সৌন্দর্য ঠিক ততখানিই স্নিগ্ধ। একদম সাদাসিধে চেহারা, যার মাঝে ভীষণ সরলতা প্রকাশ পায়। যেন বিধাতা পূর্বে এরুপ সৌন্দর্য দিয়ে কাউকে সৃষ্টি করেনি। দীপ এক মুহূর্তের মধ্যে থমকে গেল। আর মনে মনে ভাবছে কি দেখছি হঠাৎ আকাশ থেকে পরীটা কখন নেমে আসলো এই ধরায়। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হওয়ার পর তার মনে একটাই প্রশ্ন কে সেই পরী আমাকে জানতেই হবে। উপস্থিত যাকেই বলছে কেউ বলতে পারছেন না। এদিকে বিয়ে সমাপ্তি প্রায় সে তো চলে যাবে। কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না দর্শক চলে যাচ্ছে তার সাথে সেই পরীটাও। ততক্ষণে দীপের আশার আলো নিভে যাচ্ছিল। সিঁড়ি বেঁয়ে যখন নিচের দিকে চলে যাচ্ছিল দীপ তখন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না,,,,,,,,,,,


          

Sunday, March 11, 2018

দেখতে চাই


“দেখতে চাই”
—মহাদেব সাহা

আমাকে দেখাও তুমি দূরের আকাশ ওই
দূরের পৃথিবী
আমি তো দেখতে চাই কাছের
জীবন,
তুমি আমাকে দেখাতে চাও দূর
নীহারিকা,
সমুদ্র- সৈকত
দিগন্তরেখা,দূরের পাহাড়;
তুমি চাও আরো দূরে, দূর দেশে
আমাকে দেখাতে কোন রম্য দ্বিপ,
স্নিগ্ধ জলাশয়,
আমি চাই দেখতে কেবল
চেনা সরোবর,কাছের নদীটি!
আমাকে দেখাতে চাও বিশাল জগত,
নিয়ে যেতে চাও অনন্তের কাছে,
আমার দৃষ্টি খুবই সীমাবদ্ধ—
অতো দূরে যায় না আমার
চোখ;
কেবল দেখতে চাই জীবনের
কাছাকাছি যেসব অঞ্চল,
দূরের নক্ষত্র থাক তুমি এই নিকটের
মানচিত্র আমাকে দেখাও,
দেখাও নদীর কূল,চালের কুমড়ো
লতা,বাড়ির উঠোন
দূরের রহস্য নয়,কেবল বুঝতে চাই
তোমার হৃদয়……….

একটি " জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন"

জগন্নাথপুর শিক্ষা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্টান। উক্ত গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও আর্...